রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনীস্থ বাসিন্দাদের বরাদ্ধকৃত বাসা বাতিল করে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। উক্ত জায়গাটিকে পরিত্যাক্ত দেখিয়ে পিপিপি’র আওতায় ইউনাইটেড গ্রুপকে বেসরকারী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ করার অনুমতি দেয়।
উক্ত চুক্তির প্রেক্ষিতে বাসিন্দাদের বিকল্প আবাসন ব্যবস্থা দেওয়ার দাবীতে রেলওয়ের রেজিষ্ঠার্ড ০৯টি সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান সহ মানববন্ধন করে। তাতেও সারা না পেয়ে জাতির পিতার সর্বশেষ দেওয়া ভাষনের উদৃতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসন নিয়ে একটি উক্তি সংবলিত অস্থায়ী বিলবোর্ড ব্যানার বাশ দিয়ে সিআরবি মোড়ে টাঙ্গিয়ে দেয়। অনেকদিন ধরেই এটি ছিল এবং এটি দ্ধারা কারো কোন ক্ষতিও হতে দেখা যায়নি। কিন্তু বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে বিভাগীয় প্রকৌশলী -২ (চট্টগ্রাম) এর উপস্থিতিতে সহকারী প্রকৌশল দপ্তর এর আই ডব্লিউ ও এ আইডব্লিউ তাদের ভাড়াটে লোকজন দিয়ে টেনে হিচড়ে ব্যানার ফেলে দেয়। এই বিষয়ে তৎক্ষনাত সেখানে থাকা লোকজন জিজ্ঞেস করলে এআইডব্লিউ বলেন এখানে প্রশাসনিক নির্দেশ আছে এবং বিভাগীয় প্রকৌশলী-২(চট্গ্রাম) দূরে গাড়িতে অবস্থান করে বিষয়টি দেখছেন বলে অবহিত করেন। এই বিষয়ে জানার জন্য বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ কে তার সরকারী মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
উক্ত জাতির পিতার ভাষন ও মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিলবোর্ডটি তারা না সরিয়ে অতটুকুতে ফেলে রেখে চলে যায়।
বহু পৌরনিক নিদর্শন সম্বলিত রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে কলোনী,শহীদ মিনার,হিন্দু মন্দির সহ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্লাবো এই উচ্ছেদের অংশে পরে।এই ব্যাপারে উক্ত এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা বাসস্থান চায়।রোহিঙ্গারা যদি মিয়ানমার থেকে এসে এই দেশে বাসস্থান পায় তবে আমরা কেনো পাবোনা।
বাসস্থান না দিয়ে কেনো আমাদের উচ্ছেদ করা হবে
এই ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রেলওয়ে কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন
উক্ত ব্যাপারে দাবী জানানোর কারনে অনেক বড় বড় জায়গা থেকে আমাকে লোকমুখে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।