বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে চীফ পার্সোনেল অফিসার হিসাবে কাজে যোগদান করেন জনাব ফাত্তাহ্ ভূইয়া। যোগদানের পূর্বে তিনি পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। রেলওয়ে নিরাপত্তা পশ্চিমাঞ্চলীয় সদর দপ্তর সহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর বিভাগীয় কর্মচারীরা ফাত্তাহ ভূইয়ার বদলী আদেশে অতিষ্ঠ ছিলেন একাধিক মাধ্যমে জানা গেছে, যার মূলত ছিল উদ্দেশ্য প্রণদিত এবং বদলী বানিজ্যের অংশ। বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মজীবন শেষ করার কথা থাকলেও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে শেষ পদোন্নতিও তিনি পাননি। সর্বশেষ তেল চুরির অভিযোগে ওএসডি করে রেলভবনে সংযুক্ত করা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি চীফ পার্সোনেল অফিসার/পূর্ব হিসাবে যোগদান করেন।
চীফ পার্সোনেল অফিসার হিসাবে যোগদানের পর থেকেই ফাত্তাহ্ ভূইয়ার অতীত আবার সামনে উদগীরন হতে থাকে। দপ্তরের কর্মচারীদের দুই মাসের মধ্যে একাধিকবার বদলীর নজির ¯’স্থাপন করেছেন যা বিগত ০৫ বছরের মধ্যেও হয়নি। এমনকি একই শাখার সকল কর্মচারীদের বদলী করার নজির রয়েছে, যা প্রশাসনিক কাজের উপযোগী নয় বিবেচ্য। তাছাড়া দুইয়ের অধিক কর্মচারীদের একাধিকবার বদলীও করেছেন তিনি। সদর দপ্তরের মাঝেই শেষ নয় এই বদলী। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংস্থাপন কার্যালয়ে ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত জনাব নাজমুলকে বদলী করে পাহাড়তলী কারখানায় এবং কারখানায় কর্মরত ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর মোজাফরকে বিভাগীয় সংস্থ্যাপন কার্যালয়ে বদলীর আদেশ প্রদান করেন। ইন্সপেক্টর মোজাফর ইতিপূর্বে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তি হিসাবে বদলী হন যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।
এসব বদলীর বাইরেও জানা যায় বাসা বানিজ্যের ভোগ বিলাসে মগ্ন জনাব ফাত্তাহ্ ভূইয়া। কমিটি বাতিল করে নতুন করে সেই কমিটিকেই আবার অনুমোদন করেন। চাকুরীর শেষ সময়ে পুলের বাসা অন্য পুলের সাথে পারস্পরিক বদলীতে ক্ষমতার অপব্যবহারে অভিযোগ রয়েছে। চীফ পার্সোনেল অফিসের কর্মচারীদের আবেদন থাকা সত্বেও পুলের ভালো মানের বাসা ডিএমও /চট্টগ্রামের অধীনে কর্মরত নিন্ম শ্রেনীর কর্মচারীর নামে পারস্পরিক বদলীর আদেশের সম্মতি প্রদান করেন। বদলী ও বাসা বরাদ্দের বানিজ্যকে চাকুরী জীবনের শেষ কামড় হিসাবেই বেছে নিয়েছেন। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য জনাব ফাত্তাহ্ ভূইয়ার দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মিটিং আছেন বলে জানান এবং পরে কথা বলবেন বলেন। কিন্ত সিআরবি¯’ তাহার কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন বলে জানা যায়। ভূক্তভোগী কর্মচারীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী এসব অভিযোগের বিষয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন চাকুরীর শেষ জীবনে মানুষ কর্মচারীদের দোয়া নেন আর তিনি বদদোয়া নিচ্ছেন।