প্রায় দুই যুগেরো বেশি সময় ধরে স্থাপিতো সি আর বি রেলওয়ে কলোনী সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী সৃজনী ক্লাবের আয়োজনে আয়োজিত হচ্ছে বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচ।তবে করোনার কারনে এবারের আয়োজন খুবি সীমিত পরিসরে।
মুলত তরুনদের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহন, মেধাবৃত্তি, বিশেষ দিন গুলোতে সাংস্কৃতিক আয়োজন সহ নানা সামাজিক কাজে বহু বছর ধরে উক্ত ক্লাব নানা কর্মসুচি দিয়ে থাকে।
উনিশ দশকের এই ক্লাব থেকে উঠে আসা অনেক তরুন আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
উল্লেখ্য তার পাশেই রয়েছে শহীদ আব্দুর রবের স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার।
যা স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে নির্মানাধীন শহীদ মিনারের মধ্যে অন্যতম হলেও উক্ত এলাকার মানুষজন বা প্রবীনরা ছাড়া শহীদ আব্দুর রব ও বর্নক ক্লাব সংলগ্ন শহীদ মিনারের কথা তেমন একটা কারো মুখে শোনা যায়না, অযত্ন অবহেলায় মুখ থুবড়ে তবুও দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনারটি।
এখান থেকে মরহুম চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী এগিয়ে নিয়ে গেছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন।
বিজয় দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারী অথবা যে কোনো দিবসে শিশু থেকে নিয়ে তরুন, প্রবীনদের মুখে বজ্র কন্ঠে শোনা যেতো “নোঙ্গর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো”এক নদী রক্ত পেরিয়ে থেকে নিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাসের কালজয়ী সব গান। সৃজনী ক্লাব, বর্নক ক্লাবের উপস্থিতিতে এক সময় বিজয় দিবসের মঞ্চ কেঁপে উঠতো।
কেঁপে উঠতো বিক্ষ্যাত ওয়াজিউল্লাহ ইন্সটিউট।
বৃটিশ সম্রাজ্য ও স্বাধীনতা পুর্ববর্তী বহু নিদর্শন আজো রয়েছে সি আর বি সহ আশেপাশের এলাকায় যা মুক্তিযুদ্ধ সহ বহু পৌরনিক নিদর্শনের সাক্ষী।